সেবার নামে ডাকাতি চিকিৎসা খাতে সংস্কার অতি প্রয়োজনীয় দেশে নতুন স্বাধীনতা আসার পর বিভিন্ন খাতে সংস্কার চলছে ঠিক এমন সময় আলোচনায় উঠেছে স্বাস্থ্য বা চিকিৎসা খাত নিয়ে।
সেবার নামে ডাকাতি চিকিৎসা খাতে কমিশনের আশায় গণহারে ল্যাব টেস্ট রোগীর পরিবার নিঃস্ব পকেট গরম ওনার!
রোগ নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা প্রতিটি রোগীর পরিবারকে গুণতে হয় অতিরিক্ত টাকা। প্রয়োজন না হলেও করতে বলা হয় বিভিন্ন টেস্ট। বাড়তি এ সব টেস্ট করতে গিয়ে পকেট ফাঁকা রোগীর পরিবারের।
ডাক্তারের দেওয়া নির্দেশনা না মানা হলে টেস্টের রিপোট ছুড়ে ফেলেন। ওনারা টেস্ট করানোর জন্য যে ল্যাবের নাম বলেন সেই ল্যাব থেকেই টেস্ট করতে হয় অনেক বেশি ফি দিয়ে । অন্য ল্যাব থেকে একই টেস্ট কম ফিতে করিয়ে আনা যায় তবে অন্য ল্যাব থেকে টেস্ট করা হলে ডাক্তার ঐ সব রিপোট দেখেন না।
মেডিকেল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডাক্তারের চেম্বার প্রতিটি জায়গায় ঔষধ কোম্পানির সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভদের প্রতিযোগীতা লক্ষ করা যায়। প্রতিটি রিপ্রেজেন্টেটিভ নিজ নিজ কোম্পানির ঔষধ রোগীর প্রেসক্রিপশনে লিখতে ডাক্তারকে দেওয়া হয় বিশেষ বিশেষ অফার।
ডাক্তার রোগী দেখা ও প্রেসক্রিপশন করার পর ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা সেই প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলতে ব্যস্ত অবস্থায় দেখা যায়। এভাবেই রোগীর প্রেসক্রিপশনে লিখেদেন কমিশন খাওয়া কোম্পানির ঔষধের নাম।
সেবার নামে ডাকাতি চিকিৎসা খাতে এভাবে আর কতদিন?
রোগী নিজ সামর্থ ও যেখানে সাশ্রয়ী পাবে সেই ল্যাব থেকে টেস্ট করাবে এতে ডাক্তার বাধা দেওয়ার কে। রোগী টেস্ট করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ডাক্তারকে দিবে ডাক্তার সেগুলো ভাল করে চেক করে রোগীর কি সমস্যা সেই রিপোর্ট দিবে এটাই ত ডাক্তারেরর কাজ।
ডাক্তার সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভদের কথায় প্রেসক্রিপশনে ঔষধের নাম লিখতে পারবে না। ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভদের কাজ দোকানে, ফার্মেসিতে ঔষধ সেলস বিষয়ে কাজ করা । তারা কেন ডাক্তারদের বেশি কমিশনের লোভ দেখিয়ে রোগীর প্রেসক্রিপশনে ঔষধের নাম লিখতে বাধ্য করবে।
দাঁতের গোড়ায় জমে থাকা পাথর দূর করুন
কোনো ডাক্তার ঔষধ কোম্পানির টাকায় দেশে বিদেশে ভ্রমণে যেতে পারবে না। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি ডাক্তারদের বিদেশ ভ্রমণ করার সুযোগ করে দেয়। প্রেসক্রিপশনে কোম্পানির নির্দেশ মত যত বেশি ঔষধের নাম লিখবে তত বেশি কমিশন পাবে এবং বছর শেষে বিদেশ ভ্রমণ করার সুযোগ থাকে এভাবেই চিকিৎসা খাতে কমিশন বাণিজ্য চলে। সেবার নামে ডাকাতি চিকিৎসা খাতে।