আমরা কোথাও যাব না বলে একটি ইতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন উপদেষ্টা সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ।
অবৈধ্য হাসিনা সরকার দেশকে ঋণে জড়জড়িত ও দূর্নীতির সাগরে তলিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর পর, নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর আমন্ত্রণে উপদেষ্টা সরকার গঠন করে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে বসেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া তার এক ভাষণে বলেছিলেন, দেশ আজ ক্রান্তিকাল সময়ের মধ্যদিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে । সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে হবে । আঁধার কেটে গেলে আলো ফিরে আসবে।
আমরা কোথাও যাব না সবাই আমাদের কাছে আসবে
নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতি অজন করা ব্যক্তি। এরকম একজন ব্যক্তির মুখে, আমরা কোথাও যাব না, এই কথাটি যখন উচ্চারিত হয়। তখন বলতেই হয়, ৭১-এর স্বাধীনতার পর ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসা ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য ছিল স্বার্থ হাসিলের। এবার সেই রেকর্ড ভেঙ্গে দেশে আমুল পরিবর্তন আনা সহ দেশকে সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশে রূপান্তর করাই প্রধান লক্ষ নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।
আমরা কোথাও যাব না এই কথাটির গুরুত্ব দেশবাসীর অবশ্যই বোঝা উচিত। অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা, এই কথার গভীরতা অনেক। উপদেষ্টা সরকার প্রধানের দায়িত্বে থাকা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সময় যত দীর্ঘায়িত হবে, দেশের জন্য ততটাই মঙ্গল জনক হরে।
উপদেষ্টা সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পর মাত্র কয়েক দিনেই তাক লাগানো পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে দেশ উন্নয়নে।
উত্তরবঙ্গ রংপুর, কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় একটি বিশাল বিমানবন্দর রয়েছে। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এই বিমানবন্দরটি অবহেলায় ও অযত্নে ফেলে রেখেছিল দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসা স্বার্ধনীতি ও রাজনৈতিক ব্যবসায়ী নেতাগণ। বিমানবন্দরটি চালু হলে অর্ধনৈতিক ও বাণিজ্যিক ভাবে লাভবান হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তি হওয়াই এই, বিমানবন্দরটি চালু হওয়ার বিপক্ষে ছিল ভারত। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই ভারত চেয়েছিল এই বিমানবন্দরটি যেন চালু না করা হয়। ভারতের সেই চাওয়াই পূরণ করে গেছে বিগত সময় গুলোতে ক্ষমতায় আসা রাজনৈতিক ব্যবসায়ী দলগুলো।
ভারতের চাওয়া
পূরণ করার মধ্যদিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বর্থ হাসিল করে নিত। ভারতের কথামত চললে ও তাদের নির্দেশনা মেনে কাজ করলে ক্ষমতায় বার বার আসা যায়। এজন্যই প্রতিটি রাজনৈতিক দল ভারতের চাওয়া পাওয়া অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে অভ্যস্ত ছিল।
ভারতীয় স্বার্থনীতির পক্ষে ভিন্নমত পোষণ করা বাংলাদেশের একমাত্র দল হলো বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী। যে কারণে এই দলটি এখন পর্যন্ত একটি বারের জন্যও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেনি।
রংপুরের বিমান বন্দরটি চালু হলে
ভারতের স্বার্থনীতিতে আঘাত হানবে, বলে ভারত মনে করে। তবে এটি চালু হলে ভারতের স্বার্থনীতিতে আঘাত আনুক বা না আনুক তাতে বাংলাদেশের কিছু আসে যায় না। এটি চালু হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সুফল বয়ে আনবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের নেতৃত্বে বিমানবন্দরটি উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে পরিত্যাক্ত বিমানবন্দরটি সম্পূর্ণ রূপে চালু বলে আশা করা যাচ্ছে।
‘আমরা কোথাও যাব না সবাই আমাদের কাছে আসবে’। ইউনূসের এই গুরুত্বপূর্ণ কথার সারমর্ম অল্প দিনেই দেশের মানুষ বুঝতে পারছে। বিশ্বের বিখ্যাত ধোনী ব্যক্তিরা ইতি মধ্যেই বাংলাদেশে তাদের অর্থ বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চীনের কাছ ধেতে হাসিনার নেওয়া ঋণের চাপে বাংলাদেশ যখন টাল মাতাল অবস্থা তখন চীন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সহযোগীতার জন্য নতুন নতুন চুক্তিতে এগুচ্ছে।
হাসিনার সময়ে নেওয়া ঋণ
থেকে সুদের হার কুমিয়েছে চীন। বাংলাদেশের ওপর ভারতের আগ্রাসন কমিয়ে আসছে। ইউনূস সরকার আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশে আরও আমুল পরিবর্তন লক্ষ করা যাবে।
উচ্চশিক্ষা লাভের আশায় ইউরোপ যাওয়া বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রসেসিং ছিল একটি জটিল ও ভোগান্তির বিষয়। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার ভিসা আবেদন করার কোনো উপায় ছিল না। ভিসার জন্য আবেদন করতে ভারতে যেতে হত। ইউরোপীয় ভিসা সেন্টার ভারতে অবস্থিত সেই কারণেই কোনো বাংলাদেশি যদি ইউরোপ যাওয়ার ভিসা আবেদন করতে চায় তাহলে তাকে ভারতে গিয়ে আবেদন করতে হয়।
নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা প্রধান হওয়ার পর এবার সেই ভিসা সেন্টার ভারত থেকে সরিয়ে বাংলাদেশে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যা বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে সম্ভব নয়। এটা কেবল ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর পক্ষেই সম্ভব। ভিসা সেন্টা ভারত থেকে সরিয়ে বাংলাদেশে আনার ঘটনায় ভারতকে পাগলপ্রায় অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।
সামনের দিনগুলোতে আরও
এরকম অনেক বড় বড় প্রয়োজনীয় কাজগুলো ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাত দ্বারা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য কারও পক্ষে এই কাজ গুলো ব্যস্তবায়ন করা একেবারেই অসম্ভব। এজন্যই দেশের উন্নয়নে নোবের জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উপদেষ্টা সরকার প্রধানের দায়িত্বে দীর্ঘায়িত করতে সকলের একমত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এই সময়টা হাত ছাড়া হয়ে গেলে আর কোনদিনও এই সুযোগ আসবেনা। ইউনূস সরকার ক্ষমতায় থাকাকালিন দেশের উন্নয়নে যা যা করা দরকার, তা করে নেওয়াই উচিত বা বুদ্ধি মানের কাজ হবে।
আমরা কোথাও যাব না বলতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বোঝাতে চেয়েছেন যে, আমরা অন্য দেশে না গিয়ে এমন কিছু করব যার কারণে ঐ সব দেশের ধোনী ব্যক্তিগণ নিজেদের ব্যবসা বাণিজ্যের অগ্রগতি ঘটাতে তারা আমাদের কাছে আসবে । যা বিগত সময়ে ক্ষমতায় থাকা অন্য দলগুলো বাস্তবায়ণ করতে পারেনি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে কোনো সময় বিশ্বের সব ধনকুবদের সাথে বৈঠক করার সক্ষমতা রাখে। সেজন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার হিসেবে ক্ষমতায় থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। এমন ক্ষমতার অধিকরী একজন ব্যক্তি যখন দেশের সরকার প্রধানের দায়িত্বে থাকেন তখন সেই দেশ কেবল উন্নতরাষ্টের স্থানে পৌঁছাতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়।
এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা সরকার প্রধান হওয়ার পরেও, আমেরিকা ও ইউরোপ দেশগুলোর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে দেখা করারও সুযোগ মেলেনা। অথচ ড. মুহাম্মদ ইউনূস চাইলেই যে কোনো সময় তাদের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক করতে পারে। যারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা করছেন তাদের বোঝা উচিত, আপনি আগে ড. ইউনূসের কথাগুলোর অর্থ বোঝার চেষ্টা করেন তারপরে আলোচনা করেন। না বুঝে এমন কোনো উল্টাপাল্টা আলোচনা বা সমালোচনা করেন না। হতে পারে ভুলভাল আলোচনা বা সমালোচনার কারণে দেশের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।