মুদি সরকার পলায়নে হাসিনা বিপদে

মুদি সরকার

ভারতীয়রা এবার মুদির বিরুদ্ধে গোটা রাজ্য জুড়ে চালাচ্ছে মুদি বিরোধী আন্দোলন। বিগত সময় গুলোতেও মুদির বিরুদ্ধে চালানো আন্দোলন গুলো খুব শক্ত হাতে দমন করে মুদি প্রশাসন ।

তবে কি প্রতিবারের ন্যাই এবারও আন্দোলন দমন করতে সক্ষম হবে মুদি প্রশাসন। বিগত সময়ে হওয়া আন্দোলন আর এবারের আন্দোলনের মধ্যে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে বর্তমান সময়ে হওয়া আন্দোলন দমন করা মুদি প্রশাসনের জন্য অনেক কঠিন হবে বলে মনে হচ্ছে । কারণ বিশ্বের সব কট্টরপন্থি ক্ষমতাধর সরকার প্রধানরা এক এক করে সবাই আন্দোলনের মুখে নিজের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং আশ্রয় নিয়েছে অন্যদেশে এখন শুধু বাকি আছে মুদি ।

একমাত্র মুদির কারণে বর্তমান সময়ে ভারতের সাথে পাশ্ববর্তি দেশগুলোর কোনো বন্ধুসুলভ সম্পর্ক নেই। যা ভারতীয়দের জন্য খুব লজ্জাজনক একটি ঘটনা। এমন কি প্রতিবেশী প্রত্যেক দেশ ভারতীয় দের ঘৃণার চোখে দেখে, বিশেষ করে বাংলাদেশীরা  ভারতীয় সব পূণ্য বয়কট করার পর থেকেই ভারতীয় ব্যবসায়ীরা মুখ থুবড়ে পড়েছে এই সব কিছুর মূলেই দায়ী মুদি সরকার।

এভাবে চলতে থাকলে বিশ্বের বুকে ভারত কখনোই সম্মানের সহিত দাড়াঁতে পারবে না। মুদি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নষ্ট হতে থাকে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আজ ভারতের এই পরিণতি পররাষ্ট্রনীতিকে স্বার্থনীতিতে রূপান্তর করার কারণে।  ‍মুদি সরকার কখনোই পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখার পক্ষে ছিলেন না। সরকার প্রধান হওয়ার জন্য যা যা থাকা প্রয়োজন মুদির কি  আদো তা আছে?

মুদির একমাত্র রাজনৈতিক হাতিয়ার হলো গেরুয়া স্লোগান আর হাসিনার রাজনৈতিক হাতিয়ার হলো জয় বাংলা স্লোগান। জয় শ্রীরামের আদৌলে জয় বাংলা। 

সম্প্রতি কানাডায় খুনের ঘটনায় ভারত জরিত আছে বলে কানাডা ভারতীয়দের বের করে দেওয়ার কথা বলে। বাংলাদেশে মুদি তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে হাসিনাকে ব্যবহার করে। যে কারণে আন্দোলনের মুখে হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর মুদি পাগল প্রায় অবস্থা। হাসিনা ক্ষমতায় না থাকা মানে বাংলাদেশীরা ভারতীয় আগ্রাসন মুক্ত ।

ভারত তার আত্ন-মর্যাদা রক্ষা করতে চাইলে এই মূহুর্তে ‘‘মুদি হটাও ভারত বাঁচাও’’ এর বিকল্প  নাই । মুদি ক্ষমতায় থাকা মানে ভারতীয়দের জন্য এক হুমকি স্বরূপ। ভারত ধ্বংস হতে খুব বেশি একটা সময় লাগবে না যদি মুদি আর কিছুদিন ক্ষমতায় থাকে। 

হাসিনা এমন এক সময়ে ভারতে অবস্থান করছে যখন ভারতীয়রা মুদি হটাও আন্দোলনে ব্যস্ত অর্থাৎ মুদির আশ্রয়ে হাসিনা ভারতে অবস্থানরত। হাসিনা যার আশ্রয়ে আছে সে নিজেই যদি ক্ষমতায় না থাকে এবং দেশে ছেড়ে পালিয়ে যায় তাহলে হাসিনার কি অবস্থা হতে পারে তা একবার ভাবুনতো।

হয়তো বা সে সময় আর খুব একটা বেশি দুরে নয় শ্রীলংঙ্কা, বাংলাদেশ, সিরিয়া এরপর এখন অপেক্ষায় থাকা ভারতীয় মুদির পালা দেশে ছেড়ে পালানোর ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *