দীর্ঘদিন ধরে চলা ফিলিস্তিন ইসরাইল যুদ্ধ বন্ধের কোনো উদ্যেগ নিতে কাওকে দেখা না গেলেও, হঠাৎ করেই ট্রাম্প দ্বিতীয় বারের মত ক্ষমতায় বসার আগেই বহুল প্রত্যাশিত সেই যুদ্ধবিরতি এবার কার্যকর হলো।
ট্রাম্প মানেই অন্য রকম
দ্বিতীয় বারের মত মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম দিনেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাবে বলে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসা মানেই বিভিন্ন তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি , হোয়াইট হাইজে ফিরে এসেই তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান। ট্রাম্প বলেন এটি বড় একটি সিদ্ধান্ত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় এতদিন অন্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পরিমাণে অর্থ প্রদান করেছে। এর আগেও মহামারি কোভিড ১৯ মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্পর্কে সমালোচনা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন থেকেই বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন তিনি।
মহামারী কোভিড ১৯ এর সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ট্রাম্পের এই ধরনের সিদ্ধান্তটি কতটা যৌক্তিক এবং মার্কিনিরা এটাকে কিভাবে নেয় তা এখন দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে।
ট্রাম্প এসেই পাগলামি শুরু করে দিলেন বলে অনেকে মন্তব্য করছেন । প্রথম দিনেই ট্রাম্প যে ঘোষণা দিলেন তাতে অনেকে চমকে ওঠেন । ট্রাম্পের আগমনে অনেকেই আতঙ্কে ছিলেন তাদের মনে চলছিল অজানা কোনো একটি বিষয় নিয়ে এই উৎকণ্ঠা। অনেকেই ভেবে ছিলেন, ট্রাম্প এইবার ক্ষমতায় এলে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে। কেননা ট্রাম্পের এই মেয়াদ হবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ মেয়াদ। তাই হয়বা তিনি এমন কিছু করে যেতে পারেন যা আমেরিকার জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে।
আবার অনেকে মনে করেছিলেন ট্রাম্পের শেষ শাসনকাল হয়ত আমেরিকার শাসন ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আনতে পারে, যা এর আগে কোনো প্রেসিডেন্ট করেনি এমনটায় ইঙ্গিত দিয়ে ছিলেন ক্ষমতায় বসার আগে ট্রাম্প। ট্রাম্পের শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার ভয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারী গর্ভপাত করেছিলেন । কেননা ট্রাম্পের নেওয়া সেই সিদ্ধান্ত আমেরিকায় বসবাস করা ভারতীয় নারীদের জন্য অনেক দুঃখ জনক ছিল।
ট্রাম্প বলেছিলেন আমেরিকায় জন্ম নেওয়া শিশুরা আর আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না যদি কিনা তার বাবা, মা আমেরিকার নাগরিক না হয়। পূর্বে নিয়ম ছিল বাবা, মা যে দেশেরই হোক না কেন কোনো নারী যদি আমেরিকায় থাকা অবস্থায় সন্তান জন্ম দেয় তাহলে ঐ সন্তান মার্কিন আইন অনুযয়িী আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে।