নাটকীয়তা শেষে বহুল প্রতিক্ষিত গাজা যুদ্ধ বিরতি শুরু ফিলিস্তিন ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই সবার মনে একটাই প্রশ্নছিল এর শেষ কোথায়। ইসরাইল যেভাবে অসহায় গাজায় একের পর এক হামলা চালাচ্ছিল তাতে শুধু গাজাবাসি নয় সারাদুনিয়া জুড়ে এর আলোচনার ঝড় বইছিল।
নাটকীয়তা শেষে বহুল প্রতিক্ষিত গাজা যুদ্ধ বিরতি শুরু আজ
ইসরাইল যে কতটা হিংস্র তা যুদ্ধ শুরু পর থেকেই সবার নজরে আসতে থাকে । বিশেষ করে গাজায় নির্বিচারে হামলা করে যে পরিমাণ শিশু হত্যা করছিল তাতে সবার মনে ইরাইলের প্রতি যে ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছিল তার ফল ইহুদীবাদী ইসরাইল রাষ্ট্র দেখেছে ।
তবে সবচেয়ে নজরে পড়ার মত কিছু ঘটনা ছিল এই যুদ্ধকে তেন্দ্র করে। গাজা যুদ্ধে ইসরাইলকে সবদিক থেকে সহযোগীতা করে আসছিল আমেরিকা, তবে আমেরিকার বেশির ভাগ নাগরিক ছিল এর বিপক্ষে । তারা গাজা ইসরাইল যুদ্ধ বন্ধ চেয়ে রাস্তায় নেমেছিল বিক্ষপ মিছিল নিয়ে, তবে ক্ষমতায় থাকা বাইডেন প্রশাসনকে এই যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোপ মিছিল করেও তেমন কোনো সুফল বয়ে আনতে পারেনি গাজাবাসির জন্য আমেরিকান নাগরিকরা। আমেরিকান বাসিন্দারা দুভাগে বিভক্ত হযেছিল ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের সময়টাতে।একদল এই যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে আর অন্য পক্ষছিল যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। তবে বাইডেন কোনো মতেই ঐ সময়টাতে যুদ্ধ বিরতির পক্ষে কোনো কাজ করেনি। বরং তিনি ইসরাইলকে আরও সহযোগীতা করেছে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে।
অবশেষে বহুল নাটকীয়তা শেষে যুদ্ধবিরতি যে স্বপ্নছিল তা এবার পূরণ হলো। যুদ্ধবিরতিতে যেসব সিদ্ধন্ত চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হলো। তবে ঘোষণা দেওয়ার সময়টা প্রায় ৩ ঘণ্টা পিছিয়ে দিয়েছিল ইসরাইল, আর ঐ সময়টাতে তারা গাজায় আরও কঠিনভাবে হামলা চালিয়েছে, যাতে ১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অনেকে।
যুদ্ধ বিরতি চুক্তি বাতিল করার জন্য অনেক ভাবে চেষ্টা করেন নেতানিয়াহু, সে জন্যই মূলত এই ঘোষণা দেওয়ার সময়টা প্রায় ৩ ঘণ্টা পিছিয়েছিল।