হাসিনা যেদিন গুলোতে খুশিতে নৃত্য করতেন সেই ঘটনাগুলো তুলে ধরেছেন মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ুর রহমান (রেন্টু), তার লেখা ‘আমার ফাঁসি চাই বইয়ের মধ্য দিয়ে।
বর্তমান প্রজন্মের জন্য এটি জানা জরুরি
বর্তমান প্রজন্ম সত্যিকার ইতিহাস কি ছিল তা জানেই না। জানার কথাও নয়। কারণ বিগত সময়ে দীর্ঘদিন টানা ক্ষমতায় থাকার ফলে সার্ভার ও আর্কাইভ থেকে সত্যিকারের ইতিহাস গুলো মুছে ফেলে, নতুন করে তার মন, মত ইতিহাস বানিয়ে, বইপুস্তক সহ সব জায়গায় ছড়িয়েছে। যে কারণে বর্তমান প্রজন্মে পড়াশোনা করা বইগুলো পড়ে ইতিহাসের আসল ও সত্যঘটনা গুলো জানা অসম্ভব।
আমরা যারা সাধারণ মানুষ, আমাদের একটা বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে যে, যারা রাজনীতি করেন বা দেশ চালান তারা আমাদের চাইতে খুব বেশি বোঝেন তা মোটেও নয়। আমাদের ধারণার আশপাশ দিয়েই তাদের ধারণা। আমাদের চাইতে খুব বেশি জ্ঞান, মেধা, যোগ্যতা রাজনীতিবিদদের আছে, এমন ভাববারও কোনই কারণ নেই। বরং কোন কোন বাস্তব বিষয়ে তাদের ধ্যান ধারণা ও জ্ঞানের চাইতে আমরা যারা সাধারণ মানুষ, আমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি সেই তুলনায় অনেক বেশি। অন্তত বাংলাদেশের বেলায় এটা ষোল আনা সত্য।
মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ুর রহমান বলেছেন
কত নীচ প্রকৃতির এবং কত লোভী ক্ষুদ্র মনোবৃত্তির মানুষেরা কত উপরে আসীন, সাধারণ জনতার কাছে তা তুলে ধরার জন্যই, ‘আমার ফাঁসি চাই’ বইটি লেখার প্রয়াস বলে উল্লেখ করে গেছেন দেশ প্রেমি ও মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ুর রহমান রেন্টু।
মুজিব ইতিহাস সম্পর্কে পড়াশোনা জানা ব্যক্তিরা যে কারণে মুজিবকে সম্মান করেন, বর্তমান সময়ে হাসিনা প্রেমি ও অবৈধ্য ভাবে অর্থ কামানোর নেশায় অন্ধ ভক্ত হিসেবে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যারা স্বৈরশাসক ও বহুরূপি হাসিনাকে চায় তাদের সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই প্রতিবেদনটি ও রেন্টুর লেখা ‘আমার ফাঁসি চাই’ বইটি পড়তে হবে।
একজন মানুষ যে কতটা হিংস্র হলে তার পক্ষে, যত অনৈতিক কাজ আছে তা সহজেই করা সম্ভব, তা কেবল হাসিনাকে দেখলেই বুঝা যায়।
শুধু মতিয়ুর রহমান রেন্টু’র কথাই নয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ কেও হাসিনা বলেছিলেন তোমাকে ছাড়ব না, নানা ছাড়ব না।
হাসিনা যেদিন গুলোতে মনের আনন্দে নাচ করতেন
রুমালে গ্লিসারিন লাগিয়ে শুটিং স্পটে কাজ করে থাকেন অভিনয় জগতের মানুষ গুলো। তবে বাস্তবেও যে, এমন একজন পাষাণ আছে তা অনেকেরই অজানা। দুর্ঘটনা, মারামারি, গুম, খুন,হতাহত, আহত ও নিহতের খবর শুনলে সবার আত্তাই কেঁপে ওঠে। এমন একজন মানুষ আছে যিনি এই ঘটনা গুলো শোনার পর আনন্দে আত্মহারা ও নেচেগেয়ে আনন্দঘণ মুহূর্ত সময় হিসেবে পার করে থাকেন, তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
তখন সন্ধ্যা হয়ে আসছে
মেয়র হানিফের বাড়ি ছুটে যাওয়া হলো, বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল মেয়র হানিফ দশ থেকে বার জনের সাথে কথা বলছে, হঠাৎ সেখানেই শোনা গেল বিকেলে লালবাগে বিএনপির পরাজিত কমিশনার প্রার্থী ‘আব্দুল আজিজ’ গুলি করে সাত জনতে হত্যা করেছে। নিহত সাত জনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে দেখতে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলতে থাকেন রুমালে একটু গ্লিসারিন মেখে দাও।
ঐ যে, নায়িকারা অভিনয় করার সময়ে গ্লিসারিন দিয়ে চোখের পানি বের করে কান্নার অভিনয় করে। আমার রুমালে ঐ রকম গ্লিসারিন লাগিয়ে দাও, যাতে আমি লাশ দেখে রুমাল ধরতেই চোখে পানি এসে যায়। তখন একজন বলে ওঠে গ্লিসারিন মাখার দরকার নেই , আপনি শুধু রুমাল বের করে চোখে ধরে রাখবেন তাতেই মনে হবে আপনি লাশ দেখে কাঁছেন। ফটো সাংবাদিকরা ছবি তুলতে থাকবে। সাংবাদিকদের বলে দেওয়া হবে ছবির ক্যাপশনে লিখে দিতে, আপনি লাশ দেখে কাঁদছেন।
হাসিনা ছিলেন এমনি একজন মানুষ। তিনি সারা জীবন সবাইকে বোকা বানিয়ে গেছেন কেবল পরিবার হারানোর কথা বলে মিছে কান্নার অভিনয় করে।
আজ আমি বেশি খাব হাসিনা
হতাহত, আহত, নিহত ও লাশ দেখলে কষ্টে মানুষের ক্ষুধা এমনিতেই দূর হয়ে যায় বা কষ্টে খেতে ইচ্ছে করে না। তবে হাসিনার বেলায় তা ছিল উল্টো।শেখ হাসিনা এই ঘটনাগুলো দেখার পর যখন বাসায় ফিরতেন, বাসায় ফেরার পর তিনি খাবার টেবিলে বসে বলতেন আজ আমি বেশি খাব, অনেক বেশি। লাশ দেখে এসেছি লাশ।
ময়না, মিসেস মতিয়ুর রহমান (রেন্টু)। ময়নাকে বলত ময়না, খাবার বেশি করে এনেছ’ত? তিনি যখনি লাশ দেখে বাসায় ফিরতেন, বাসায় ফেরার পর অস্বাভাবিক খাবার খেতেন। যা তিনি অন্য সময়ে খেতেন না। খাওয়া শেষে জিন্দেগী জিন্দেগী বলে গানও নাচ করতেন। এ রকমই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা’র একটি রূপ মাত্র।
মেজর বজলুল হুদাকে শেখ হাসিনা নিজ হাতে জবাই করে হত্যা করেছিলেন

কথায় আছে রূপের রাণী কাল নাগীনি
ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়। তেমনি ছিলেন মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা। শুধু বেশি খাবার খেয়েই শান্ত থাকেননি। তার খাবারের তালিকায় অন্যতম খাবার হিসেবে ছিল ‘ফেনসিডিল’। যা, প্রমাণ পেতে ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে গণভবন ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর গণভবনে ঢোকা সাধারণ মানুষগুলো বিদেশী ‘মদ্য পানীয়’ বোতলগুলো উদ্ধার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছিলেন।
প্রতিশোধ নেওয়ায় সফল হলে তিনি হতেন খুশিতে আত্মহারা
১৪ আগস্ট ২০২৩ শেখ হাসিনার জন্য ঐ দিনটি ছিল ইতিহাসে থাকা সবচেয়ে আনন্দের দিন। দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনা যে মানুষ টাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন, সেই মানুষটা ১৪ আগস্ট ২০২৩ মৃত্যুবরণ করেন। দিনটি ছিল মুজিব নিহতের আগের দিন। যে কারণে ১৪ আগস্ট হাসিনার জীবনে এটি আনন্দঘণ দিন হিসেবে ইতিহাসে ঠাই পাবে।
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত হওয়ার পর থেকে হাসিনার জীবনে আসা যতগুলো ১৫ আগস্ট ছিল বা পালন করেছে তার মধ্যে ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট ছিল অন্যতম কারণ আগের দিন ১৪ আগস্ট ‘আল্লাহমা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী’ মৃত্যু বরণ করেছে। এতে শেখ হাসিনা যে পরিমাণ আনন্দিত হয়েছিলেন সেই আনন্দ উল্লাসের রেশ এখনো কাটেনি। সে কারণেই ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট হাসিনার কাছে ছিল অন্যতম। হাসিনা হয়ত ভুলেই গিয়েছিলেন ১৫ আগস্ট মুজিব নিহত হয়েছিলেন।
বহুরূপি কাল নাগীনির রূপের কথা শেষ হবার নয়। তিনি রক্ত পিপাসু, রক্ত না দেখলে তার ভাল লাগে না। যে কারণে ২০২৪ শে জুলাই আগস্টে আন্দোলনে সারাদেশ জুড়ে হওয়া আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে গুলি করে প্রায় দুই হাজার পাঁচশ মানুষ হত্যা করেছে।
বর্তমান উপদেষ্টা সরকার
যখন জুলাই আগস্ট আন্দোলন সহ বিগত সময়ে ক্ষমতায় থাকাকালিন যেসব গুম,খুন ও হত্যার সাথে লিপ্ত থাকার দায়ে শেখ হাসিনার বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। এমনি সময়ে ভারতে পালিয়ে থাকা হাসিনা নাকি ক্যান্সার আক্রান্তে ভুগছেন। হাসিনার এই অসুস্থতার খবর কেবলই একটি ড্রামার অংশ বিশেষ হতে পারে বাস্তবে নয়। নির্যাতন, গুম, খুন, ও হত্যার দায়ে ফেঁসে যাওয়া ও বিচারের হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্যই এই নাটক সাজিয়েছে বলে দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করছে।