মুজিব হত্যা নয়। সেনা অভ্যুত্থানে সপরিবারে নিহত হয়েছেন

মুজিব হত্যা নয়

মুজিব হত্যা নয় , ১৫ আগস্ট নিয়ে শেখ হাসিনা এতদিন ধরে ভুল বার্তা ছড়িয়েছেন। পরিবার হারানো বেদনার কথা বলে সহজ সরল মানুষগুলোকে ভুরভাল ইতিহাস শিখিয়েছেন, এবার যেন তাই প্রমাণিত হলো। 

মুজিব হত্যা নয়। সেনা অভ্যুত্থানে সপরিবারে নিহত হয়েছেন বাকশাল মুজিব

১৫ আগস্ট কোনো হত্যার ঘটনা ঘটেনি, যা ঘটেছিল তাহলো সেনা  অভ্যুত্থান । ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত হন শেখ মুজিব, সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসিনা সারাজীবন মিছে কান্না কেঁদেছে । সেনা অভ্যুত্থানকে হত্যাযজ্ঞ বলে চালিয়ে গেছে সারাজীবন ধরে। 

হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে ফ্যাসিবাদী হাসিনা, যেটি ছিল অবাঞ্চনীয়। কারণ সেনা অভ্যুত্থানে মুজিবের রক্ষী বাহিনী পরাজীত হয়ে নিহত হন শেখ মুজিব, এত জয়ী হয় সেনা শক্তি। একনায়কতন্ত্র ও বাকশাল শাসক ছিলেন শেখ মুজিব। 

শেখ মুজিবের সেই বাকশাল শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেনা অভ্যুত্থান। যুদ্ধে মুজিব ও রক্ষীবাহিনী পরাজিত হলে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকাসহ সারাদেশ জুড়ে রাস্তায় নেমে আসে আনন্দ  মিছিল নিয়ে। শুরু হয় মিষ্টি বিতরণ, দেশের ইতিহাসে এত মিষ্টি খাওয়া ও বিতরণের ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি। 

স্বৈরাচার ও বাকশাল থেকে মুক্ত হওয়ার যে,  কি অনুভূতি তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। প্রমাণ স্বরূপ ৫ আগস্ট ২০২৪, স্বৈরাচার হাসিনার পতন ও দেশ ছেড়ে পালানোর পর, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ জুড়ে যে আনন্দ মিছিল শুরু হয়েছিল, তা থেকেই অনুমান করা যায় ৭৫ এর ১৫ আগস্ট সেনা অভ্যুত্থানে বাকশাল মুজিব নিহতের পর কি হয়েছিল। 

অথচ বাকশাল মুক্ত ও স্বাধীনতা ফিরে পাওয়া সেই আনন্দঘন দিনকে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা  এতদিন শোক দিবস হিসেবে পালন করতে বাধ্য করেছিল দেশের মানুষকে। 

শেখ মুজিব কখনোই স্বাধীনতা চায়নি, তিনি শুধু চেয়েছিলেন পূর্ব বাংলার নেতা হতে। পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তান এক দেশ হিসাবেই থাকলেও পার্থক্য শুধু এক নেতার পরিবর্তে থাকবে দুই নেতা। মুজিব সব সময় স্বপ্ন দেখত নিজেকে পূর্ব বাংলার নেতা হিসেবে।

One thought on “মুজিব হত্যা নয়। সেনা অভ্যুত্থানে সপরিবারে নিহত হয়েছেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *