শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কড়া হুসিয়ারী অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শেখ হাসিনার বক্তব্য বর্তমান…
বাংলাদেশে প্রচার করা বেআইনি। এ বিষয়ে ২২শে আগস্ট রোজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নিষেধাজ্ঞা
ঐ বিবৃতিতে বলা আছে, শেখ হাসিনা একজন দণ্ডিত অপরাধী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি। তার অডিও, ভিডিও বা বক্তব্য প্রচার করা ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করা।
এর পূর্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচারের বিষয়ে নিষিদ্ধ করেছিল। সম্প্রতি সময়ে কিছু গণমাধ্যম আইন উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করেছিল, যা গুরুত্বর অপরাধ মূলক কাজ। ভবিষ্যতে এই ধরনের ভাষণ বা বক্তব্য প্রচার করা হলে সংশ্লিষ্ট গণধ্যমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বর্তমান উপদেষ্টা সরকারের মতে, শেখ হাসিনা গত জুলাই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে শত শত মানুষকে সরাসরি গুলি করে হত্যার নির্দেশদাতা ছিলো এমন অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। বর্তমানে শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারের মুখোমুখি।
নির্বাচন ইশতেহার: জনগণের স্বপ্ন নিয়ে রাজনৈতিক দলের রঙ্গ তামাশা!
ঐ বিবৃতিতে আরও বলা আছে, প্রথম বারের মত বাংলাদেশের মানুষ অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে । এমন সময়ে শেখ হাসিনার বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও ভাষণ প্রচারে সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রস্তুতি ব্যহত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই গণমাধ্যমগুলোকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, দূর্নীতি, অনিয়ম, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবজি, গুম ও খুনের মত ঘটনা যেন আর কেউ না ঘটাতে পারে সেব্যাপারে কঠোর হুসিয়ারী।
অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত দেখে গত ১৫-১৬ বছর ধরে অবৈধ্যভাবে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সহ দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নানা উপায়ে অন্তর্বর্তীকালি সরকারকে ব্যর্থ করতে একের পর এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে।
উপদেষ্টা সরকারে থাকা কয়েকজন উপদেষ্টাকে নিয়ে ছড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন গুজব যা গণ মানুষের মনে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরী করছে বলে মনে করা যায়। জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর রাষ্ট্র সংস্কারের এক বিরাট সুযোগ তৈরী হয়েছে, যা বার বার আসে না। এমন সুযোগ হাত ছাড়া হলে গণ মানুষের আশা আকাঙ্খা অপূরণীয় থেকে যাবে। তাই কোন অবস্থাতেই এমন সুযোগ হাত ছাড়া হতে দেওয়া উচিত হবে না ।
মুজিব হত্যা নয়। সেনা অভ্যুত্থানে সপরিবারে নিহত হয়েছেন
রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সংস্কার অতিব জরুরি। সংস্কার নেই বলে ভোট বিহীন ব্যক্তি নিজেকে এদেশের সরকার প্রধান হিসেবে ঘোষণা করার দুঃসাহস দেখাতে পারে। হরণ হওয়া বাকস্বাধীনতা, নাগরিক অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা ও ভবিষ্যতে এসব ঘটনা পুনরাবৃত্তি বন্ধে সংবিধানে সংস্কার প্রয়োজন।
প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজে বাধা দেওয়া ব্যক্তি বা দল, এরা কেউ দেশ ও জাতির মঙ্গলচায় না। এরা কেবল নির্বাচনের আগে ইশতেহার এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মন জয় করায় পারদর্শী। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় এসে সরকারের চেয়ারে বসার পর ইশতেহার এ দেওয়া সকল ওয়াদা বা প্রতিশ্রুতি ভুলে অর্থ আত্নসাৎ এর মোহে ব্যস্ত সময় পার করে থাকে এমন টায় নজরে আসে মিডিয়ার বরাদ দিয়ে সবাই তা দেখেছে।
বিশেষ একটি মহল এখনো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে সকল ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে এমন অভিযোগ ইতিমধ্যে বহুবার প্রকাশ্যে এসেছে। শেখ হাসিনা ছাড়া তারা অন্যায়, অনিয়ম, দূর্নীতি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, গুম ও খুনের মত ঘটনা ঘটাতে পদে পদে হিমশিম খাচ্ছে । শেখ হাসিনার তৈরী করা সিন্ডিকেট ভাঙতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা হচ্ছে ।
হাসিনা যেদিন গুলোতে খুশিতে নৃত্য করতেন
উপদেষ্টা সরকারের এমন অভিযানকে ব্যহত করতে সিন্ডিকেড এর সাথে জরিত থাকা ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ভুলভাল তথ্য প্রচারের সাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্ত তৈরীতে সরব হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে। শেখ হাসিনা অবৈধ্যভাবে সরকারে থেকে দেশকে ঋণের এক মহা সাগরে তলিয়ে বাজেট এর নামে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের নামে থাকা ব্যাংক ব্যালেন্স কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।
ভোট বিহীন ক্ষমতায় থাকা কালিন শেখ হাসিনা নিজ পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের প্রত্যেক সদস্যকে প্রচুর পরিমাণে ধন সম্পদ গড়ার সুযোগ তৈরী করে দিয়ে গেছেন। যার প্রমাণ স্বরূপ হাসিনা কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে বিদেশে থাকা বিলাস বহুল বাড়ি ও ফ্ল্যাট এর সন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে মিডিযায় এরই মধ্যে এসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
হাসিনা ক্ষমতায় থেকে যে ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা ও নির্দেশদাতা হিসেবে সময় পার করে গেছেন তা এদেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের প্রতিটি ব্যক্তিই কোনদিনও ভুলতে পারবে না।