আদালতে হাসিনার বিচার এর এভিডেন্স প্রস্তুত

আদালতে হাসিনার বিচার

আদালতে হাসিনার বিচার এর জন্য এভিডেন্স জমা, না দিতে পারে বলে মনে করেন দেশ প্রেমি মানুষ গুলো।

জুলাই আগস্ট আন্দোলন দমন করতে ও হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে ছাত্রলীগ , পুলিশ লীগ,বিজিবির‌্যাপিড অ্যাকশন বাটালিয়ন র‌্যাবকে দিয়ে সরাসরি গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল হাসিনা।

হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ হত্যার যে ঘটনা ঘটিয়েছিল, সেই ঘটনা হাসিনা অস্বীকার করেছিলেন। তবে সেই ঘটনায় কারা কারা জড়িত ছিলেন, হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর সময় কে কে ছিলেন, হেলিকপ্টার কোন দিক দিয়ে গিয়েছিল সব প্রমাণ হাতে পেয়েছে ড. পিনাকি ভট্রাচার্য, এমনটাই বলেছেন একটি ভিডিওর মাধ্যমে।

আদালতে হাসিনার বিচারের জন্যএভিডেন্স জমা না দিলে

আদালতে হাসিনার বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় এভিডেন্স যদি হাসু প্রেমি’রা জমা না দেয় তাহলে ড. কনক সারোয়ার, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন, ড. পিনাকি ভট্রাচার্যের কাছে থাকা প্রমাণ গুলো পাবলিক করে দেওয়ার কথা বলেছেন ড. পিনাকি ভট্রাচার্য।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে মানুষের ওপর যে দমন, পিড়ন চালিয়েছে তার বিচার অতি দ্রুত হওয়া প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ ও হাসিনা এই নাম গুলোকে মানুষ যে কতটা ঘৃণা করে তার প্রমাণ এইবারের ২১শে বই মেলার মধ্যেদিয়ে পাওয়া যায়। ময়লা ফেলানো একটি ‘ডাসবিনে’ ‘স্বৈরাচার হাসিনা’র ছবি ব্যবহার করেছে, এতে করে মানুষ যে কি পরিমাণ আনন্দীত হয়েছে তা প্রকাশ করার মত ভাষা জানা নেই। এ থেকে বোঝা যায় হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ওপরে মানুষের কতটা ঘৃণা জন্মেছে।

এখন দেশের মানুষ এর চাওয়া আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক বিচার করা। নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগ এখনো কিভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে ঝটিকা মিছিল করে? বিগত ১৫ বছর ধরে তাদের দ্বারা দেশের প্রতিটি মানুষ যে লাঞ্ছনা  স্বীকার হয়েছিল, মাত্র কয়েক দিনেই কি সেই কথা ভুলে গেলেন?

স্বৈরাচার শাসনামলে সুবিধা পাওয়া প্রশাসন যদি এখনো তাদের বাচানোর চেষ্টা করে  তবে এটা হবে তাদের জন্য আরও একটি ভুল । ছাত্র আন্দোলনের সময় হাসিনা কিন্তু আপনাদের কথা চিন্তা করেনি। তিনি শুধু নিজের নিরাপত্তার দিকটাই ভেবেছিল। তিনি যদি আপনাদের নিয়ে ভাবত তাহলে স্বার্থপরের মত হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে গিয়ে আত্মগোপনে থাকত না। তিনি ভাল করেই জানত দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশে থাকা নেতাকর্মী সহ তাদের হয়ে কাজ করা, প্রশাসনে থাকা প্রতিটি ব্যক্তির জন্য সামনের দিনগুলোতে কি হতে পারে। এর পরেও তিনি নিজের নিরাপত্তার জন্য দেশ থেকে পালিয়ে গেলেন।

বাংলাদেশের পরে স্বাধীনতা লাভ করা অন্য রাষ্ট্রগুলো তাদের দেশ থেকে স্বৈরশাসক ব্যবস্থা ও স্বৈরাচার নির্মুল করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু বাংলাদেশেই তার কোনো কিছুই করা হচ্ছে না। সব কিছুই চলছে সেই আগের মত করেই।

সব কিছু যদি আগের মত করেই চলে তাহলে এই স্বাধীনতার জন্যই  কি জীবন দিয়েছিল আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ইয়ামিন সহ আরও অনেক দেশ প্রেমিক তরুণ। না, তারা এই স্বাধীনতার জন্য জীবন দেয়নি । তারা সত্যি কারের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছে। যে স্বাধীনতা বাস্তবায়ন হলে দেশের মানুষ স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্তি পাবে, ভারতীয় আগ্রাসন থেকে মুক্তি পাবে, বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে ‘বিএসএফ’ এর গুলি খাওয়া থেকে মুক্তি পাবে, ভারতের ‘স্বার্থনীতির’ কাছে দেশের ও মানুষের ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলি দেওয়া থেকে মুক্তি পাবে।

বাংলাদেশ ভারতের কাছে মাথা নত করে নয়, মাথা উঁচু করে চলবে। উপদেষ্টা সরকারের কাছে স্বাধীনতাকামী মানুষদের এটাই আকুল আবেদন।দেশের মানুষ সেই স্বাধীনতা চায়।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *