ফাঁসি দিয়েই ছাড়ব এমন মনোভাব নিয়েই ৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহতের পর বিদেশে থাকা দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরেন।
দেশে আসার পর থেকে হাসিনা নিজ মনোবাসনা পূরণের লক্ষ্যে এগোতে থাকে। হাসিনা ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার আগে দেশের মানুষের আস্থা অর্জনে নিজেকে সব সময় পরহেজগার হিসেবে উপস্থাপন করতেন। আস্থা অর্জন করতে পড়তেন হিজাব, নামায ও হাতে তসবি।
ফাঁসি দিয়েই ছাড়ব ক্ষমতা যায় যাক
এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয় বারের মত ক্ষমতায় আসেন। যদিও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচন নিয়ে অনেকে বলেছিলেন ফখরুদ্দিন আহমাদ হাসিনাকে জয়লাভ করিয়েছিলেন। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে হওয়া নির্বাচনসহ টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন হাসিনা সরকার। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ তিনটি নির্বাচনই ছিল জনগণের ভোট বিহীন। এই তিনটি নির্বাচন দেশের মানুষের কাছে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ছিল।
আওয়ামী লীগ সরকার কখনোই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারেনি । তারা যত বার ক্ষমতায় এসেছে প্রতিটি নির্বাচনেই ভোট কারচুপির মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
ক্ষোভ শুরু ২০০১ থেকে
২০০১ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করতে না পারার যত ক্ষোভ গিয়ে পড়ে জামায়াতের উপর। সেসময়ে জামায়াতের ৮ থেকে ১০ শতাংশ ভোট গিয়ে পড়ে চার দলীয় জোট ‘বিএনপি’র বাক্সে, এমনটাই মনে করেছিল আওয়ামী লীগ । ঐ নির্বাচনে বিএনপি দল জয়লাভ করে। তখন থেকে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ওপর ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয় আওয়ামী লীগের।
ক্ষোভ ছাড়তে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধ অপরাধী হিসেবে জামায়াত নেতাদের বিচার কাজ শুরু করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন আওয়ামী লীগ। ২০১০ সাল থেকে যুদ্ধ অপরাধী হিসেবে বিচার কাজের প্রক্রিয়া শুরু করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সরকার। এরপর এক এক করে গ্রেফতার করতে থাকে জামায়াতের সংগ্রামী নেতাগুলোকে।
আওয়ামী লীগের তৃণমূলে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন যুদ্ধ অপরাধী নামের তালিকায় যেসব জামায়াত নেতাদের নাম রয়েছে হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালিন তাদের ফাঁসি দিয়েই ছাড়বে । তিনি আরও বলেন এতে যদি ক্ষমতা ছাড়তে হয় হাসিনা তাতেও রাজি তবে ক্ষমতা যাওয়ার আগে ফাঁসি দিয়েই ছাড়বে।
হাসিনা ভারত প্রেমী হওয়াই, ভারতের চাওয়া ও হাসিনার ক্ষোভ দুটিই জামায়াতের ওপর প্রয়োগ করে একেবারে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল আওয়ামী লীগ।
জামায়াতের আটক ব্যক্তিগুলোকে দোষী সাব্যস্ত করতে মিথ্যা সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করতে থাকে। এভাবেই জামায়াত ইসলামীর আল্লাহওয়ালা ও পরহেজগার ব্যক্তিগুলোকে ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে তাদের ইহকালের জীবনের সমাপ্তি ঘটায় আওয়ামী লীগ সরকার।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গলায় পুথির মালা ও কপালে টিপ পরিহিত অবস্থায় তাকে দেখা যেত।
তিনি নিজেকে পরহেজগার ও আল্লাহ ওয়ালা হিসেবে দাবী করলেও তার কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠে তিনি ইসলাম নয় ভিন্ন ধর্মের অনুসারী। গলায় পুথির মালা ও কপালে টিপ এগুলো মুসলিমদের জন্য নয়। এগুলো ভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা পড়ে থাকে।
হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর সময়কালে একদল নারী কপালে টিপ পড়ত। এই টিপ পড়ার মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের পতিতা হিসেবে পরিচয় দিত। সমাজে বসবাস করা মানুষগুলোর মধ্যে তারা ছিল ভিন্ন। পতিতা নারীরা তাদের পেশা ও পরিচয় উপস্থাপন করত কপালে টিপ পড়ার মধ্য দিয়ে।