ক্ষমতায় এলে দেখে নিব সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় এমনি একটি হুমকি দিয়েছিলেন। মিডিয়ার মাধ্যমে সেই ভিডিওটি সবার নজরে এসেছে।
ক্ষমতায় এলে দেখে নিব বলে হুমকি
জুলাই আগস্ট আন্দোলনে তোপের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর মানুষ কিছুটা স্বস্তিবোধ করলেও , সেটা খুববেশি দিন দীর্ঘায়িত হতে পারেনি। কারণ হাসিনা দেশ ছেড়ে গেলেও দেশে থাকা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ তৎপরতা দেখা যায়। কোনো কোনো দল মনে করছে তারা বোধহয় ক্ষমতা পেয়েগেছে। তাদের আচার আচরণ দেখে সেরকমই মনে হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ দেশে বা রাজনীতির মাঠে না থাকার মানেই আগামী দিনে ক্ষমতায় আসা দলটির নাম ‘বিএনপি’। সচরাচর সেটাই হয়ে থাকে। আওয়ামী লীগ যে কারণে মানুষের মনে ঘৃণার পাত্র হিসেবে পরিণত হয়েছিল, ‘বিএনপি’ কি তার উর্দ্ধে? প্রচলিত একটি কথা আছে নৌকা ও ধানের শীষ দুই সাপের একই বিষ।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সারা দেশ জুড়ে তাদের নেতাকর্মীরা যে তাণ্ডব চালিয়েছিল তা এই দেশের মানুষ কখনোই ভুলবে না। আওয়ামী লীগ সরকার ও তার দোসররা যা যা করে গেছে, আগামী দিনে ক্ষমতায় আসা সম্ভাব্য দলগুলোর নেতাকর্মীরাও সেটাই করে যাচ্ছে।
চট্রগ্রাম, ফেনী, পটুয়াখালী ও নারায়ণগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে ‘বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ। সেই সাথে ওঠেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজির অভিযোগ। দেশের এমন পরিস্থিতিতে এই ঘটনাগুলো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এই সব ঘটনার লাগাম টেনে ধরতে না পারলে আগামী দিনে বিএনপিকে চরম মূল্য দিতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘মাদার অফ ডেমোক্রেসি’ খ্যাতি অর্জন করা একমাত্র ব্যক্তি হলেন বেগম খালেদা জিয়া। যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন। দলের নেতা কর্মীরা বর্তমান সময়ে যা করছে, এতে দল ও বেগম জিয়ার ‘খ্যাতি’ প্রশ্নবৃদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তারেক জিয়া আমেরিকা থেকে বার বার দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছে, সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দলের ভাব মূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ডে দলের কোনো নেতাকর্মী যেন লিপ্ত না হয়। সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আসছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিগত সময়ের চেয়ে অনেক কঠিন ও প্রতিযোগীতা মূলক হবে। তারেক রহমানের এই বক্তব্যগুলো উপেক্ষা করে যেসব নেতাকর্মী নিজেদের মনমত ও খাম খেয়ালী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে দলের সুনাম ক্ষুন্ম করছে এরা কখনোই দলের ভাল চায় না।
এমন ব্যক্তি দলে থাকলে, দল হিসেবে বিএনপি একদিন আওয়ামী লীগের মত হবে। ভুল করলে প্রস্তাতে হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানো ব্যক্তি গুলোর ব্যাপারে ভাল করে খোঁজ খবর নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া যাবে, যত দ্রুত সম্ভব তাদেরকে দলথেকে দূরে সরে রাখা ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় জনগণ থেকে বিএনপি অচিরেই দূরে সরে যাবে বা হারিয়ে যাবে। ক্ষমতায় না ফিরতেই যে আগ্রাসন ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ক্ষমতায় এলে যে, কি করবে তা একমাত্র উপরওয়ালাই ভাল জানে।