রাজনৈতিক ব্যবসায়ী কথাটি লেখার কারণে অনেকের কাছেই সমালোচনার পাত্রে পরিণত হতে পারে “নতুন বাংলাদেশ ডট কম”
রাজনীতি বা রাজনৈতিক কথাটির মর্যাদা বা সম্মান কেউ কি রক্ষা করতে পেরেছে ? রাজনীতি মানবসেবার একটি প্রথান মাধ্যম হলেও বর্তমান সময়ে রাজনীতি কথাটি মানুষের কাছে অতি ঘৃণার পাত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। যদিও এটি হওয়ার কথাছিল না। এর জন্য দায়ী কারা?
রাজনীতি কথাটি বর্তমানে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সত্যিকারের দেশ প্রেমিক ব্যক্তিগুলোও এই নামের সাথে নিজেকে জড়াতে ভয় পায়।
রাজনীতিকে রানৈতিক ব্যবসা বানিয়েছে রাজনীতি
আশা, আকাঙ্খা ও লোভ, লালসার গ্যারা কলে পড়েছে রাজনীতি। বিগত ১৫ বছর অবৈধ্যভাবে ক্ষমতায় থাকা দলটির কাছ থেকে যে অভিঙ্গতা অর্জন করেছে মানুষ তা হলো, রাজনীতি করতে কোনো কিছুরই প্রয়োজন হয় না।
রাজনীতি করতে যা প্রয়োজন তা হলো, যে দল ক্ষমতায় আছে তার পাছায় তেল মারা। যে যত বেশি তেল মারতে পারবে, তার প্রমোশন ও ঠিক একই ভাবে এগোবে। এমনটিই ঘটেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে। সংসদে কিছু নারী সদস্য বক্তব্য দেওয়ার সময় লক্ষ করা গেছে তারা বাংলা ভাষাটাও ঠিক মতো বলতে পারে না। শুদ্ধ ভাবে যারা কথা বলতে অপারকতা দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার তাদেরকেই মেম্বার অফ পার্লামেন্ট এর মত একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গার সদস্য বানিয়েছে। এমন ব্যক্তিগুলোর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আর কি বা বলার আছে।
কেবল নারী সদস্যরাই নয় অনেক সংসদ সদস্য আছে যাদের সঠিক পরিকল্পনা ও কথা বলার মত পারকতা নেই । আওয়ামী লীগ সরকার তার উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ণ করতে এমনটি করেছিল। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের ভারত পরায়ণ ছিল অন্যতম। শিক্ষিত ও বিবেকবান ব্যক্তিগুলো যদি সংসদের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সদস্য হিসেবে থাকত তাহলে দেশ আজ ধ্বংসের গ্রাসে পরিণত হত না।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল দুটি । বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ‘বিএনপি’ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলদুটি একই সুতোয় গাথা। দলদুটির রীতি,নীতি ও ধারা একই আঙ্গিকে। দলদুটি ভিন্ন হলেও তাদের নেতা কর্মীদের চাল, চলন ও আচার, আচরণ এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলেই অনেকে মনে করেন।
স্বাধীনতার পর থেকে দুটি দলই বহুবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে বসেছিল, কিন্তু কাজের কাজ কোনোটিই করেনি বা করতে পারেনি। ক্ষমতায় আসার পূর্বে তারা ধোয়া তুলসি পাতার মত, দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদেরে সবটা উজার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ক্ষমতায় আসার পর ঘটে ঠিক তার উল্টো।
ক্ষমতা গ্রহণের পর তারা যা কিছুই করে তার সবটাই তাদের নিজেদের স্বার্থে। আত্নীয়-স্বজন থেকে শুরু করে আগামী প্রজন্মের জন্য গড়ে তোলে বিশাল সামরাজ্য। অন্যদিকে খেটে খাওয়া দিন মজুর, গরীব, দুঃখী অসহায় মানুষগুলোর আত্নচিৎকার শোনার ও দেখার মত কেউ থাকে না। অথচ ক্ষমতায় আসার আগে এই নেতাগুলোই রাতদিন সেইসব গরীব, দুঃখী অসহায়ের বাড়ি বাড়ি ঘুড়ে থাকে কেবল ভোট নেওয়ার আশায়।
যুগে যুগে এটাই হয়ে আসছে। এর শেষ কোথায়? একটি প্রচলিত কথা আছে, ‘আওয়ামী লীগ’ ও ‘বিএনপি’ মুদ্রার এপিঠ, ওপিঠ। এদের মধ্যে যে দলই ক্ষমতায় থাকুক, দেশ কখনোই ভারতীয় আগ্রাসন থেকে রক্ষা পাবে না। এ দেশ টাকে রক্ষা করতে হলে এদের থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সবার একটাই চাওয়া এদেশে কোনো বৈষম্য নয়। সবার একটাই পরিচয় আমরা বাঙ্গালী। আমরা সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে অভ্যস্ত। ইসলাম বিশ্বের একটি শান্তিপ্রিয় ধর্ম। এর কাছে সবাই নিরাপদ।