উপদেষ্টা সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বিভিন্ন সময় আলোচনায় বসেছিলেন। দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি তা কিভাবে সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দল গুলোর পক্ষ থেকে তেমন কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।
উপদেষ্টা সরকার কে ব্যর্থ করতে তাদের যত চেষ্টা
রাজনৈতিক দল গুলোর চাওয়া ‘উপদেষ্টা’ সরকার দ্রুত নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করুক। নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসে তারা যেন সেই স্বৈরাচারি শাসন আবার প্রয়োগ করতে পারে রাত দিন তারা সেটা নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় পার করছে।
উপদেষ্টা ইউনূস সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকলে, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ক্ষতি হিসেবে দেখছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপদেষ্টা সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে তা দেশের জন্য অবশ্যই মঙ্গল বয়ে আনবে। রাষ্ট্র সংস্কার না করে কোনো ভাবেই নির্বাচন দেওয়া উচিত হবে না।
উপদেষ্টা সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে ব্যর্থ করতেই বিভিন্ন মহল একটি গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ড. ইউনূস সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে সফল হলে, রাজনৈতিক ব্যবসায়ী দলগুলো তাদের ‘অস্তিত্ব’ হারাবে। এজন্যই ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ না করেই তারা দ্রুত নির্বাচন চায়। দেশের এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র সংস্কার না করে যদি নির্বাচন দেওয়া হয় তাহলে আগামী দিনে ক্ষমতায় আসা দল স্বৈরশাসক রূপ দেখাবে এটা সুনিশ্চিত বলে মনে করা যায়।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া দেশ প্রেমিক তরুনদের সুযোগ দেওয়া উচিত
রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে নতুন মুখ আনা অত্যন্ত জরুরি । দেশের সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশের বাহিরে থেকেও যে সকল দেশ প্রেমিক ‘যোদ্ধারা’ ‘জুলাই আগস্ট’ আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন, বর্তমান উপদেষ্টা সরকারের উচিত ছিল সে সকল দেশ প্রেমিকের কথাগুলো গুরুত্বের সাথে শোনা।
দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মুখে ‘প্রশংসার’ জয়গান শোনালেও তাদের অন্তরে ‘বিষ’। এরা ইউনূসকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে। উপদেষ্টা প্রধান ইউনূসের জায়গায় যদি অন্য কোনো ব্যক্তি থাকত তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়া অনেক আগেই পূরণ হত। রাজনৈতিক দলগুলো খুব ভাল করেই জানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন একজন যিনি দেশে বিদেশে সমান ভাবে খ্যাতি অর্জন করা ব্যক্তি। এমন ব্যক্তির নামে যত ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন তা কোনো কাজেই আসবে না।
ঢাকা কলেজের সাথে অন্য সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীদের যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত ছিল। এই ঘটনা গুলো কিভাবে ঘটছে, কোথা থেকে এর সূত্রপাত হচ্ছে, তা সঠিক ভাবে তদারকি করে পরবর্তি সময়ে যেন এমন ঘটনা আর পুনরাবৃত্তি না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
দেশে থাকা গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা অবশ্যই বাড়াতে হবে। বিগত ১৫ বছর টানা ক্ষমতায় থেকে মানুষের বাক স্বাধীনতাকে খুন করে গেছে, তা আবার ফিরিয়ে দিতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থা চাইলে উপদেষ্টা সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রযোজনীয় সহযোগীতা করতে পারে।
জুলাই আগস্ট ও পূর্ববর্তি সময়ে বিভিন্ন ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকান্ডে লিপ্ত থাকার দায়ে ‘নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগ’ কিভাবে এখনো দেশে অরাজকতা তৈরী করছে, কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশনে যাচ্ছে না প্রশাসন। এটা প্রশাসনের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। রাষ্ট্র সংস্কার ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাইলে প্রশাসন তা রাখতে পারে।
ড.মুহাম্মদ ইউনূস সরকার ব্যর্থ হলে শুধূু ,জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরাই নয় দেশে ও দেশের সকলের মৃত্যু হবে। ভারত আগের ন্যায় আরও কঠিন ভাবে বাংলাদেশে আগ্রসন চালাবে ।