বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল কেন ভারতীয় নির্দেশ মেনে চলতে অভ্যস্ত। “মাদার অফ ডেমোক্রেসি” বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া । তিনি ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন।
জয়ের মত তারেক রহমান ও হারিয়ে যাবে
আওয়ামী লীগ শাসনামলে জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলা ও নাইকো ‘দুর্নীতি’ সহ বিভিন্ন মামলায় তার নাম আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী, বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে পাঁচ বছরের কারাবাসের দণ্ডপ্রাপ্ত হন। এতে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একটি এতিম খানা ট্রাস্ট গঠনের সময়ে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। এটি ছিল সেসময়ে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের সভাপতি শেখ হাসিনার সাজানো ও বানোয়াট মামলা।
২০২৪ সালে ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর, নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপদেষ্টা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর, বেগম খালেদা জিয়ার নামে থাকা মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা খারিজ করে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ‘বিএনপি’তে থাকা ক্ষমতাবান নেতা ও নেত্রীর কোনো অংশে কমতি নেই।
বেগম জিয়াকে তারা মায়ের সম্মানে রাখতেও ভুল করেনি। মা সমতু্ল্য বেগম জিয়া যখন দিনের পর দিন বিনা দোষে কারাবন্দি হয়েছিলেন, বর্তমান সময়ে গলার আওয়াজ তুঙ্গে কথা বলা ‘বিএনপি’ নেতাগুলো তখন আঙ্গুল চুষছিলেন? কেন তখন তারা মায়ের জন্য কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। মা কারাগারে আর সন্তান বাহিরে, দামি গাড়ি, দামি পোষাক, ও আনন্দঘন মুহূর্ত । আপনি কেমন সন্তান? দলের জন্য আপনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। দল আপনার কাছে কতটা আশা করে, আপনি দলকে কতটুকু দিতে পারেন ?
কেন আপনার মায়ের সন্তান হিসেবে, দলের হিসেবে, দেশ ও মানুষের অধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হলেন?২৪ এর গণঅভ্যুত্থান এমনি এমনি আসেনি বা হয়নি। বিগত সময়ে কেন, বড় আন্দোলন তৈরী করতে সক্ষম হননি, তা একটি বারের জন্য হলেও জনগণের সামনে এসে পরিষ্কার করেন। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, ‘বিএনপি’তেও এমন অনেক নেতা আছে যাদের কারণে ‘বিএনপি’কেও একদিন আওয়ামী লীগের মত পরিণতি ভোগ করতে হবে।
বেগম জিয়া কারাগারে থাকা অবস্থায়, দলের এত নেতাকর্মী থাকা সত্বেও কেনো তারা আন্দোলনের মাধ্যমে কারাগার থেকে বেগম জিয়াকে কারামুক্ত করতে পারল না। কেন বিএনপি নেতারা ভারতের স্বার্থবাদী চুক্তিগুলো’র ব্যাপারে কোনো আলোচনা করার সাহস রাখে না। বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ার মাধ্যমে নজরে এসেছে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (র)-এর ফাঁদে আটকা পড়েছে বিভিন্ন দলের ক্ষমতাবান নেতারা। যে কারণে তারা ‘ভারতস্বার্থনীতির’ বিরুদ্ধে কোনো কথা বলার সাহস রাখেনা।
বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ভারত প্রেমী হওয়াই সবচেয়ে বেশি, এই ফাঁদে পড়েছে তারা। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (র)এর সবচেয়ে বড় একটি কৌশল হলো নারী। নারী দিয়ে বিভিন্ন নেতা কর্মীদের গোপন ভিডিও ধারণ করে রাখত, ভিডিও ফাঁদে পড়া নেতা কর্মীরা যখনি ভারতীয় স্বার্থনীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে চায়, ঠিক তখনি গোপন ভিডিওটি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়, ফলে সেই ব্যক্তি পরবর্তি সময়ে কখনোই ভারত নিয়ে কোনেো কথা বলার সাহস রাখে না ।
‘বিএনপি’তে থাকা বেশ কিছু নেতা গোল আলুর সমতুল্য। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেও ওদের কিছু হবে না, আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসলেও ওদের কিছুই হবে না। এই ব্যক্তিগুলোই মূলত (র) এর ফাঁদে আটক থাকার বিষয়ে কিছুটা ইঙ্গিত দেয়।
যেসব নেতাকর্মী দল ও দেশ কোনোটির জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে না তাদেরকে দলে রাখার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। কারণ এরা দল, ও দেশ দুটির জন্যই হুমকি স্বরূপ। দলকে দীর্ঘস্থায়ী করতে অবশ্যই দলে নতুন মুখ আনা অত্যন্ত জরুরি। কেন না তরুণ প্রজন্ময় আগামীর ভবিষ্যৎ। ধ্বংস স্তুপের মধ্যে দিয়েই নতুন্বত্বের জন্ম।
মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ ‘জাতীয়তাবাদী’ দল ‘বিএনপি’ এটি ‘প্রেসিডেন্ট’ ‘জিয়াউর’ রহমানের দল । এটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত ‘জনপ্রিয়’ একটি দল। কোনোভাবেই এর ‘জনপ্রিয়তা’ কমতে দেওয়া উচিত হবে না।