আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। নতুন বাংলাদেশ

আগামীর বাংলাদেশ হবে

বহুল প্রত্যাশিত বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর হাতে দেশ পরিচালনা স্বপ্ন দেখা মানুষ গুলোর সেই স্বপ্ন এবার ব্যস্তব রূপ আসতে পারে।

আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী যার পূর্বনাম ছিল ‘জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ’। এটি বাংলাদেশের একটি সর্ববৃহৎ ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের কল্যাণে ইসলামী ‘শরিয়াহ’ আইন বাস্তবায়ন ছিল দলটির প্রধান লক্ষ্য। দলটি পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামী ও মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের আদর্শ ধারন করে। হাসিনা তার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট-কে ব্যবহার করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াত ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের একটি রায় প্রকাশ করে।

জামায়াত আমীর ড. শফিকুর রহমান কুষ্টিয়া জেলার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠানে বলেন “রাষ্ট্র পরিচালনার  দায়িত্ব পেলে যুব সমাজকে দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়ব”।

ড. শফিকুর রহমান বলেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনা হবে ‘মদিনা সনদ’ অনুযায়ী, ‘মদিনা সনদ’ হলো আল্লাহর সংবিধান । মদিনা সনদে ১ থেকে ৫ নং ধারা পর্যন্ত প্রতিটি ধারায় মানুষের গণ অধিকার সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে কোনো নাগরিকের অধিকার হতে তাকে বঞ্চিত করা যাবে না। যদি কোনো পক্ষ তা করতে আসে মুসলমান হিসেবে তা প্রতিহত করতে এগিয়ে আসতে হবে।

নম্র ভদ্র ও কোরআনের সংবিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনার যোগ্যতা কেবল জামায়াত ইসলামী রাখে। কোরআন সব সময় শান্তির কথা বলে সেই আদর্শ লালন করে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী । রাজনীতির মাঠে যত দল আছে  প্রত্যেকেই একে অপরের প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচিত এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা বলে তারা নিজেরাই স্বাবলম্বী হয়ে থাকেন। কেবল জামায়াত ইসলামী প্রতিহিংসার চর্চার বাহিরে তারা প্রতিটি জায়গায় শুধুমাত্র ইসলামী নিয়ম কানুন মেনে চলার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয়।

জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবার কে ইসলামের পথে ফিরিয়ে আনতে কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে । তারা দেশের বিভিন্ন আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এতিম অনাত ও অসহায় শিশুসহ সবাইকে পবিত্র কুরআন, হাদীস ও কর্মমুখী শিক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজে তাদের বেশ তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।

জামায়াত কেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারে না ?

বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হলেও দেশটির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে জয়ী হবে এবং ক্ষমতায় আসবে তা নির্ভর করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের উপর। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল “বিএনপি” বাংলাদেশ “আওয়ামী লীগ” বাংলাদেশ “জামায়াত ইসলামী” ও “জাতীয় পার্টি”। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান এই চারটি দল অংশগ্রহণ করে থাকে। এদের মধ্যে কেবল জামায়াত ইসলামী ছাড়া বাকী দলগুলো এক বা একাধিকবার জয়ী হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসেন। তাহলে জামায়েত কেন এখন পর্যন্ত একটি বারও জয়লাভ করতে পারল না। জামায়াত ইসলামীর সহজ সরলতার সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে ও প্রযোজন শেষে বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে উগ্রবাদী ও ধর্মান্ধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রকৃতপক্ষে জামায়াত ইসলামীর মতাদর্শ ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আল কুরআনের আলোকে সর্বাধুনিক ও বৈজ্ঞানিক।

জামায়াত ক্ষমতায় আসতে না পারার আরও একটি বড় কারণ হলো ভারতের সাথে দলটির মতাদর্শ ভিন্ন। ভারতের চাওয়া পাওয়া ও তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিলে অন্য দলগুলোর মত জামায়াতও , অনেক আগেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসতে পারত। জামায়াত ইসলামী কখনোই ইসলামী ধারা ও সংবিধানের বাহিরে গিয়ে ভারতের সাথে কোনো চুক্তিতে সমর্থন না দেওয়ার কারণেই তারা এখন পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেনি। জামায়াতের প্রতিটি সংগ্রামী নেতা সব সময় ভারতের স্বার্থনীতির আলোচনা ও বক্তব্য দিয়ে, ভারত সমর্থিত ও ভারত প্রেমীদের সমালোচনায় পড়ত।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ নাগরিক সেটাই চেয়েছিল

যেটা দীর্ঘদিন ধরে জামায়াত ইসলামী চায়। ভারত বাংলাদেশের ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের নামে ৭১ পরবর্তী সময়ে যে আগ্রাসন ভূমিকা ও হস্তক্ষেপ দেখিয়ে আসছিল সেটা বাংলাদেশের প্রতিটি দেশ প্রেমিক মানুষের কাছে একেবারে অগ্রহণযোগ্য ছিল। তবে ভারত প্রেমী একটি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ্য ভাবে ক্ষমতায় থেকে ভারতের স্বার্থ বিরোধী কথাবলা মানুষগুলোর বাক স্বাধীনতা হরণ করে ছিলেন। ভারত প্রেমী গোষ্ঠীটি ক্ষমতা থেকে উৎখাত হলে দেশের মানুষ নিজেদের বাক স্বাধীনতা ফিরে পায়।

এভাবেই  জামায়েত ইসলামী দলটি বর্তমান সময়ে এদেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে যে দুর্নীতির মহাসাগরে ফেলে গেছে সেখান থেকে দেশটা আবার নতুন করে গড়ে তুলতে জামায়াত ইসলামী ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

কথাই আছে ‘আওয়ামী লীগ’ ও ‘বিএনপি’ মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। বর্তমান সময়ে দেশের তরুণ সমাজ যাকে আইডল হিসেবে দেখে থাকেন তিনি হলেন জনপ্রিয়তার এক উচ্চস্থানে থাকা ব্যক্তি ইসলামী আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী। সম্প্রতি তিনি একটি কথা বলেছেন “এক দল খেয়ে গেছে আরেকটি দল খাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে”। কথাটি বলার পর রাজনীতির মাঠে থাকা প্রায় প্রতিটি দল তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠার মত অবস্থা।

আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে ‘আওয়ামী লীগের’ জন্য বিপদ বয়ে আনতে পারে অন্যদিকে বাংলাদেশ ‘জামায়াত ইসলামী’ ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগ মানুষ হতে পারে।

একজন বাংলাদেশী হিসেবে প্রতিটি মানুষের চাওয়া রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে জামায়াত ইসলামীর আগমন। জামায়াত ইসলামী দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসলে দেশ ও দেশের সকল নাগরিক নিরাপদ থাকবে। যেখানে থাকবে না কোনো ধর্মের ভেদাভেদ, থাকবে না কোনো বৈষম্য, সবার থাকবে কেবল একটি পরিচয় আমরা বাঙ্গালী।

জামায়াত কখনোই অন্য কোনো ধর্মের উপরে জুলুম করে না। সম্প্রতি সময়ে কোনো একটি মহল হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ করলে জামায়াত ইসলামীর সদস্যরা রাতদিন তাদের পাহাড়া দিয়ে আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *