নির্দোষ বিডিআর জোয়ানদের, স্বৈরাচার হাসিনা আমলে নির্বিচারে ১৫ বছর ধরে আটক রাখা হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ৬ মাস অতিবাহিত হলেও সেইসব নির্দোষ বিডিআর জোয়ানদের জামিনের ব্যাপারে কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
প্রত্যাশার তুলনায় অনেক দেরিতে জামিন পেলেন
নির্দোষ বিডিআর জোয়ানরা
আজকে প্রায় ২৫০ জন বিডিআর জোয়ান জামিন পেলেন। বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিন পেলেন ২ শতাধিক।
আজ রবিবার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।
এছাড়া ৩০ জন যাদের নাম বিস্ফোরক মামলার চার্জশিটে ছিল তাদেরকে বাদ দিয়ে এই জামিন দেওয়া হয়েছে।
মিডিয়ার তথ্য সূত্রে জানা যায় পিলখানা হত্যাকান্ড ঘটনার পর যেসব বিডিআর জোয়ানরা সাক্ষ্যদিতে চেয়েছিল তাদের মধ্যে অনেকেই ১৫ বছর ধরে নির্বিচারে জেলখানায় বন্দিছিল।
হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর উপদেষ্টা সরকার ক্ষমতায় আসলে জেলাখানায় বন্দিথাকা বিডিআর জোয়ানদের জামিনের বিষয়টা আলোচনায় নিয়ে আসেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।
এরপর থেকেই বিডিআর জোয়ানদের জামিনের বিষয়ে স্বচ্ছার হয় সচেতন নাগরিকরা। অস্থায়ী আদালত তৈরী করে বিচার কাজ করা হবে বলে তৈরী করা হয়েছিল ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসায়, তবে আদালত তৈরী করা হলেও নাটকীয়ও ভাবে রাতে সেই আদালত আগুনে পুড়েছে বলে খবর ছড়ালে মানুষ এই সাজানো নাটকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে থাকে।
প্রতিবাদের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত বিডিআর জোয়ানদের জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে আগ্রহ দেখায় উপদেষ্টা পরিষদ। সবমিলিয়ে এই সদস্যরা অনেক দেরিতে জামিন পেলেন যা আরও আগেই পাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন অনেকে।