শেখ মুজিব ইতিহাস বাঙ্গালী জাতির এক অনুপ্রেরণার নাম বঙ্গবন্ধু ‘শেখ মুজিবুর’ রহমান
বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি বাঙ্গালী জাতির জনক হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তাঁর অবদানকে ঘিরে ইতিহাসে বহুবার বিকৃতি, অবমূল্যায়ন এবং অধঃপতনের শিকার হতে হয়েছে। প্রশ্ন জাগে—মুজিব ইতিহাস অধঃপতনের দায় কার? এ দায় কি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দলের, শাসকগোষ্ঠীর, নাকি আমাদের সামাজিক ও প্রজন্মগত ব্যর্থতার ফল? এই বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনে সে দিকগুলো খতিয়ে দেখা হলো।
শেখ মুজিব ইতিহাস অধঃপতনে দায়ী ব্যক্তি!
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট এবং পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা, যা মুজিব’কে ঘিরে আবর্তিত হয়েছিল, তার কিছু ভুল সিদ্ধান্ত এবং দুর্বলতা ইতিহাসের এই অধঃপতনের জন্য দায়ী। শেখ মুজিব ইতিহাস
মুজিব’কে ঘিরে বিতর্ক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভিন্ন মতাদর্শ, তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। শেখ মুজিব ইতিহাস
অনেকে মনে করেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা এবং তাদের কিছু বিতর্কিত কাজের জন্য মুজিব’কে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। শেখ মুজিব ইতিহাস
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনা, যেখানে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন, তা ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায় এবং এর দায় এককভাবে কারো উপর চাপানো ঠিক নয়। শেখ মুজিব ইতিহাস
১. ইতিহাসকে অতিরিক্ত রাজনৈতিকীকরণ
শেখ হাসিনা সরকার বঙ্গবন্ধুর নাম ও আদর্শকে রাজনৈতিকভাবে অতিরিক্ত ব্যবহার করেছে। প্রতিটি প্রকল্প, সেতু, সড়ক, বিমানবন্দর এমনকি সরকারি প্রোগ্রামের নামকরণ বঙ্গবন্ধু বা তাঁর পরিবারের নামে করায় সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে – এটি কি সত্যিকার শ্রদ্ধা, নাকি রাজনৈতিক প্রচারণা? এই অতিরিক্ত ব্যবহার ইতিহাসকে গৌরবান্বিত করার বদলে অনেক ক্ষেত্রে জনমনে বিতৃষ্ণা সৃষ্টি করেছে।
২. মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সংকোচন
শেখ হাসিনার শাসনামলে ভিন্নমত দমন, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ ইতিহাসচর্চাকে সংকীর্ণ করেছে। বঙ্গবন্ধুর সমালোচনাও অনেক সময় রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় গবেষক, লেখক ও সাধারণ মানুষ স্বাধীনভাবে আলোচনা করতে ভয় পান। ফলে বঙ্গবন্ধু নিয়ে মুক্ত, ভারসাম্যপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য গবেষণার সুযোগ কমেছে। ইতিহাস চাপা পড়েছে একমুখী প্রচারণার নিচে।
৩. দলীয়করণ বনাম জাতীয়করণ
বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙ্গালী জাতির নেতা, কিন্তু শেখ হাসিনার সময়ে তাঁকে অনেকাংশে কেবল আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে “জাতির জনক” হিসেবে প্রচারিত করা হলেও বাস্তবে রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দল ও তাদের সমর্থকরা বঙ্গবন্ধুর নাম শুনলেই এক ধরনের রাজনৈতিক বিরূপতা অনুভব করেন। এই বিভাজন বঙ্গবন্ধুর সার্বজনীন মর্যাদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
৪. দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি
শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ মানুষের চোখে এই ব্যর্থতা প্রায়ই বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কারণ জনগণ মনে করে, বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে পরিবার বা দলীয় স্বার্থ হাসিল করা হচ্ছে। ফলে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভূমিকার মহত্ত্ব অনেক ক্ষেত্রে ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
৫. শিক্ষাক্রম ও ইতিহাস বিকৃতি
নতুন শিক্ষাক্রমে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসকে অতিরিক্তভাবে প্রাধান্য দেওয়া হলেও অন্য জাতীয় নেতাদের অবদান কম গুরুত্ব পায়। ফলে শিক্ষার্থীদের মনে ভারসাম্যপূর্ণ ইতিহাসচেতনা তৈরি না হয়ে উল্টো বিরূপ প্রতিক্রিয়া জন্ম নেয়। অনেকেই মনে করে ইতিহাসকে বিকৃত করে শেখ মুজিবকে জোরপূর্বক আরোপ করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস কোনো একটি দলের একচেটিয়া সম্পত্তি নয়, বরং সমগ্র জাতির গৌরব। শেখ হাসিনার শাসনামলে কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসের মর্যাদা ও জনপ্রিয়তা অনেক সময় প্রশ্নের মুখে পড়েছে। রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা, দলীয়করণ, মতপ্রকাশের সংকোচন ও স্বজনপ্রীতি বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত ইতিহাসকে আড়াল করেছে।
হাসিনা যেদিন গুলোতে খুশিতে নৃত্য করতেন
বাংলাদেশের উচিত বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক হিসেবে সার্বজনীন ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করা, যাতে ইতিহাস রাজনৈতিক বিভাজনের শিকার না হয়।
শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে প্রতিটি সিদ্ধান্তই রাজনীতি করণ করায় শেখ মুজিব ইতিহাস অধঃপতনের একটি বড় কারণ বলে মনে করা হয়। মুজিব ইতিহাস অধঃপতনে তার কন্যা দায়ী আছে বলে ধারনা করা হয়। বিগত সময়ে মুজিব কন্যা শেক হাসিনার শাসননামলের সময়কাল বিচার বিশ্লেষণ করলে এমনটাই লক্ষ্য করা যায়।
শেখ মুজিব ছিলেন পূর্ব বাংলার এক অবিসংবাদিত নেতা এতে কোনো সন্দেহ ছিলো না, কিন্তু হঠাৎ করেই সে বিষয়ে কেন এতো আপত্তি কর প্রশ্ন