রাজনীতি বিগত ১৫–১৬ বছর আ,লীগ স্বৈরাচারের শাসনামল চলা কালে এদেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ে থাকা ব্যক্তি সবার মাঝে বিরাজ করত এক অজানা আতঙ্ক। কেউ জানে না কে কখন কোন বিপদের সম্মুখীন হবে, যেমন গুম-খুন, কিংবা জঙ্গী নামক একটি ভয়ংকর নাটকের জালে আটক হওয়া।
এটাই ছিলো তার রাজনীতি
মুজিব যে বাকশাল তৈরী করে এদেশের সকলের মুখ বন্ধ করে, নাগরিক অধিকার হরণ করেছিলেন, ঠিক তেমনি মুজিব কন্যা পিতার দেখানো পথেই হাঁটছিলেন, তিনি হয়ত স্বপ্নেও ভাবতে পারেন নি যে তার রাজনীতি পতন অচিরেই, হাসিনার রাজনীতি শানসামলে সারাদেশ জুড়ে চলছিলো জুঙ্গী জুঙ্গী খেলা, যা চালু হয়েছিলো মূলত বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম বা মুসলমানদের ধ্বংস করার লক্ষ্যে।
ঢাকায় হলি-আর্টিজান, পিলখানা হত্যাকান্ড, শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের উপর নৃশংসতা, নারায়ণগঞ্জ সাত খুন, এসব ঘটনা চলকালে স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার বলেছেন, জঙ্গি তৎপরতা রোধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ সংশোধনেরর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার, এই সবই ছিলো শেখ হাসিনা ও ভারতীয় “র” এর সাজানো নাটক,
সে সময়ে অসংখ্য গণমাধ্যম থাকলেও, কেউ স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারেনি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর নামে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার একটি ভয়ংকর রাজনীতি ফাঁদ তৈরী করেছিল যা দিয়ে গণমাধ্যম ও সচেতন নাগরিকসহ সকলের টুটি চেপে ধরতে সক্ষম হয়েছিল।
স্বৈরাচারের পতন
৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পতনের পর, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের উপদেষ্টা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশে শান্তি ফিরতে শুরু করেছে।
হাসিনার শাসনামলে বাজার দর ছিলো সবার নাগালের বাহিরে, চাল, ডাল, আলু, পিঁয়াজ, ভজ্যতেল, কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে সবকিছুর মূল্য ছিলো উর্ধ্বগতি, যা মানুষের নাবিশ্বাস অবস্থা। উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে ঋণের মহা সাগরে তলিয়ে দিয়েছিলো অবৈধ্য সরকার শেখ হাসিনা রাজনীতি ,
ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর উপদেষ্টা সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে ঋণ থেকে মুক্ত, বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা, মানুষের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও গুম-খুনের হাত থেকে দেশের প্রতিটি মানুষকে রক্ষা করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
জুলাই আগস্টে যারা গুলি করে অন্যায়ভাবে মানুষ মেরেছে তাদের বিচার নিশ্চিত করা, আগামী দিনে আর যেন কেউ স্বৈরাচার হতে না পারে সে পথ বন্ধ করা, এসব নিয়ে যখন কাজ করছে, ঠিক এমন সময় গোপালি,রা দেশেকে আরও একবার অস্থিতিশীল করার লক্ষ্য নিয়ে, জুলাই আগস্ট আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র জনতার উপর নৃশংসভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে। এ থেকে স্পষ্টভাবে-ই বুঝা যায় আ,লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন এ দেশ ধ্বংস করার জন্যই তারা রাজনীতি করে আসছে।
দেশ ঋণের বোঝা থেকে মক্ত হয়ে, রিজার্ভ (Reserve) বাড়তে শুরু করেছে তখনি দেশকে পেছন থেকে টেনে ধরতে আওয়ামী স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এটাই তার রাজনীতি ।
সম্প্রতি গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উপর, যে নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে, শেখ হাসিনার নির্দেশে তা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালানোর পর শেখ হাসিনা ভারতে বসে এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেশে থাকা তার দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ও দিক নির্দেশনা দিচ্ছে, তারই একটি কর্মসূচি ছিলো গোপালগঞ্জের এই হামলা।
দাঁতের গোড়ায় জমে থাকা পাথর দূর করুন
তারা আরও বলেছে যে, গোপালগঞ্জে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এর কারণ হলো স্বৈরাচারের অনেক নেতাকর্মী এখনো গোপালগঞ্জে লুকিয়ে রয়েছে। সারাদেশে আওয়ামী সরকারের আমলে যারা চাঁদাবাজি, লুটপাট ও গুমখুনের সাথে জড়িত ছিলো, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর সাথে সাথে সেইসব নেতাকর্মীরা অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। যারা এখনো দেশ ছেড়ে পালাতে পারেনি তাদের মধ্যে অনেকেই গোপালগঞ্জে আশ্রয় নিয়ে আছে।
এজন্যই গোপালগঞ্জে কোনো কর্মসূচির ঘোষণা দিলে তারা ভয়পায়, যদি তারা ধরা পড়ে !
সবকিছু মিলিয়ে দেশ আগের চেয়ে বর্তমান সময়ে অনেক ভালো আছে, ভালো আছে এদেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সকল পেশাজীবি ও শ্রমজীবি মানুষ। কারও মাঝে আগের মত নেই কোনো গুম হওয়ার আতঙ্ক। ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর উপদেষ্টা সরকার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই দেশটাকে আধুনিকায়ন, ঋণ মুক্ত একটি স্বনির্ভর দেশ গড়ার লক্ষ্যে।
আমাদের সকলের উচিত হবে দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই সরকারকে সহযোগীতা করা। এই সরকার যত বেশী সময় ক্ষমতায় দীর্ঘায়িত হবে দেশের জন্য ততই মঙ্গল জনক হবে। আমরা সকলেই লাভবান হব। লাভবান হবে আমাদের আগামী প্রজন্ম। আমরা সকলেই চাই ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর উপদেষ্টা সরকার ক্ষমতায় থেকে দেশের স্বার্থে সকল ধরনের প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার এর কাজগুলো শেষ করে তবেই একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজন করবে।