পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড নিন ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ব্যবহারে রয়েছে বেশকিছু সুবিধা, ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ব্যবহার করে সহজে দেশে ও বিদেশে লেনদেন করা যায় এজন্যই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড এত জনপ্রিয়।
পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড (Dual Currency Mastercard) সাধারণত এমন একটি কার্ড যা দুটি ভিন্ন মুদ্রায় লেনদেন করার সুবিধা দেয়, সাধারণত একটি স্থানীয় মুদ্রা (যেমন BDT) এবং একটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা (যেমন $ USD) ব্যবহার করা যায়। এই কার্ডের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ বা অনলাইনে আন্তর্জাতিক কেনাকাটায় সহজে লেনদেন করা যায়।
প্রিপেইড ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড যেভাবে ব্যবহার করা যায়
প্রিপেইড ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ডে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা রিচার্জ করে ব্যবহার করতে হয়। এই কার্ডে আপনি যে পরিমাণ টাকা রিচার্জ করবেন ঠিক সে অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন। যারা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে চান না বা বিদেশ ভ্রমণের সময় সীমিত বাজেটে কার্ড ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য প্রিপেইড পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড উপযোগী।
একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে আপনি যদি একটি ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড ব্যাংক থেকে নিতে চান তাহলে আপনার একটি পাসপোর্ট অবশ্যই থাকতে হবে এবং ঐ পাসপোর্টের ফটোকপি জমা দিয়ে ব্যাংক থেকে ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড নিতে পারবেন। কার্ডটি নিতে ব্যাংকে আপনার নামে অ্যাকাউন্ট থাকলেও পাবেন অ্যাকাউন্ট না থাকলেও পাবেন।
পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড নিন
পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড নেওয়ার সুবিধা , এই কার্ড নিতে প্রয়োজন আপনার একটি এনআডি অর্থাৎ ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড, যদি আপনার নামে আইডি কার্ড না থাকে তাহলে পরিবারের যে কারও নামে থাকা আইডি কার্ড ব্যবহার করে সহজেই ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড নিতে পারবেন।
এবং এই কার্ডের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। এটি ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড, এই কার্ড দিয়ে অনলাইন, অফলাইন, দেশে, বিদেশে , গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, আলিবাবা, আলি এক্সপ্রেস ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের লেনদেন করতে পারবেন।
লিঙ্কডইন অ্যাকাউন্ট এভাবে খুলুন আর টাকা আয় করুন
প্রথমে redotpay এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন, এরপর এনআইডি কার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্টটি ভেরিফাই করুন, তারপর একটি ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড অর্ডার করুন। একটি ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড অর্ডার করার জন্য আপনার কাছ থেকে চার্জ কাটবে দশ ডলার। দশ ডলার দিয়ে একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পাবেন পাসপোর্ট ছাড়াই এবং এই কার্ডের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। এই পাঁচ বছরের মধ্যে আর কোনো চার্জ কাটবে না
এই কার্ডে ডলার অ্যাড করতে ব্যবহার করুন বাইনান্স অ্যাকাউন্ট এবং সহজেই বাইনান্স থেকে redotpay অ্যাকাউন্টে ডলার অ্যাড করে পেয়ে যায় পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড।
পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড সবচেয়ে বেশি সুবিধা হলো এই কার্ডের বছরে কোনো চার্জ নেই অর্থাৎ পাঁচ বছরের মধ্যে আর কোনো চার্জ কাটবে না। ব্যাংক থেকে নেওয়া ডুয়েল কারেন্সি কার্ড প্রতি বছরে দশ ডলার প্লাস বা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় বারশত করে চার্জ করে।
পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড দিয়ে কি কি করতে পারব
পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে লেনদেন করতে পারবেন, যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন বা আউটসোর্সিং করেন তাদের জন্য এটি অনেক উপকারী কারণ এই কার্ড ব্যবহার করে আপনি অনলাইন থেকে ডোমেইন, হোস্টিং, ওয়েবসাইট থিম, প্ল্যাগইন, বিভিন্ন সফটওয়্যার সহ অনলাইনে যাবতীয় কাজ করতে পারবেন।
এই কার্ড এর সাহায্যে ফেসবুক অ্যাডস, ইউটিউব অ্যাডস, গুগল অ্যাডস, ইনস্ট্রাগ্রাম অ্যাডস, টুইটার অ্যাডস দিতে পারবেন। আপনি যদি সোশ্যাল মার্কেটিং বা বুস্ট নিয়ে কাজ করতে চান তাও করতে পারবেন।
ব্যাংক থেকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে গেলে অবশ্যই আপনার নামে একটি পাসপোর্ট লাগবে। যদি আপনার নামে কোনো পাসপোর্ট না থাকে তাহলে প্রথমে পাসপোর্ট করতে হবে এরপর ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে এবং তখন একটি ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড পাবেন। পাসপোর্ট করতে গেলে নূন্যতম প্রায় সাড়ে চার হাজার এর মত টাকা প্রয়োজন, তবেই আপনার নামে একটি পাসপোর্ট করতে পারবেন। একটি নির্দিষ্ট সময় পর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে আবার রিনিউ করতে হয়, অন্যথায় ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের মেয়াদ শেষ হলে আর রিনিউ করতে পারবেন না।
যারা টাকা পয়সার সংকট মনে করছেন তাদের জন্য শুধু মাত্র ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে পাসপোর্ট ছাড়া ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড পাওয়া যায় সেটা নেওয়াই ভাল হবে। কারণ এই কার্ড নিতে কেবল দশ ডলার হলেই পাঁচ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।